মানুষের জন্মকথা, কিভাবে ধর্মের আভিরভাব?
যদি মানুষের জন্ম থেকে মানুষ প্রাক্রিতিক ভাবে বেড়ে , তার নিজের চিন্তা দিয়ে তার জীবন গড়তে পার্থ তাহলে আজ এই পৃথিবীর এত জঘন্য, অধপতন হত না। মানুষ ধার্মিক হয়ে জন্মায়না ।মানুষকে জোর করে ধর্মের মধ্যে ঢোকানো হয় । জন্মের পর কোন শিশুর দেহে টাগ লাগানু তাকে না, যা লাগানু হয় তা জুর করে দিয়ে দেওয়া হয়! সে বুজতে পারে না কি করা , তাকে যা বলা হয়ে তাকে তাই করে।
প্রকৃতির গঠনকে ব্যাখ্যা করতে না পেরে মানুষ সেই প্রকৃতির শক্তির আরাধনা করা শুরু করেছিল এবং ধর্মের সৃষ্টি করেছিল । পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবেশে মানুষ বিভিন্ন দেব – দেবীর কল্পনা করেছিল । তাই প্রাচীন মিশর – গ্রীস -নরওয়ে -ব্যবিলন বা আমদের ভারতবর্ষে বিভিন্ন দেবদেবীর উদ্ভব হয় । এইভাবে শুরু হওয়া ধর্ম ব্যক্তিগত স্তরে থাকলে মানুষের ক্ষতি হয়না । কিন্তু বিভিন্ন ভৌগোলিক ও সামাজিক পরিবেশের ধর্ম যখন প্রাতিষ্ঠানিক অর্থাৎ হিন্দু – খ্রীস্টান-ইহুদী – বৌদ্ধ – জৈন – পারসিক – মুসলিম প্রভৃতি ধর্মে রূপান্তরিত হয় তখন মানুষের পরাধীনতা শুরু হয় ধর্মের কাছে । দীর্ঘদিন মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে পারিবারিক এবং পারিপার্শ্বিক ধর্মের চর্চা মানুষের জীনের মতোই কাজ করে যাকে বিজ্ঞানী ডকিন্স বলেছেন মিম । এই মিম বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হয় । মানুষের নিজের পছন্দ থাকেনা , মানুষকে জোর করে বাধ্য করা হয় প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের মধ্যে ঢোকাতে । তারপর অর্থনৈতিক কারণে ধর্মের প্রসার লাভ করে এবং শুরু হয় সঙ্ঘাত । যার ফলে মারপিট খুনোখুনী লুট সব হয় এই ধর্মকে আশ্রয় করে । সমাজের মানুষের একতা , শ্রমিকের দাবী দাওয়ার অধিকার রক্ষার একতা একতা সবকে বিনষ্ট করতে ব্যবহার হয় ধর্ম । ইউরোপ -এশিয়া – আমেরিকা সব মহাদেশের ইতিহাসই এই বলে যে ধর্ম উত্থানের সময় ব্যতীত বাকি সময়টা শাসকের হাতের শোষণের যন্ত্র হিসাবেই ব্যবহ্রত হয়েছে । যার ফলে বর্তমানের সারা পৃথিবী আতঙ্কিত । আরব এবং ভারতীয় উপমহাদেশ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ । ইউরোপও বাদ যাবেনা কারণ তারা মুনাফার স্বার্থে এই ধর্মকে কাজে লাগিয়েছিল ।
আমার ব্যক্তিগত কোনো ধর্মবিশ্বাস নাই । এই মহাবিশ্বে প্রতিনিয়ত এনার্জী ও ম্যাটারের রূপান্তরে আমাদের এই পৃথিবী নামক গ্রহের সৃষ্টি । এবং বিবর্তনের ধারাপথে আমি এসেছি ৩০০/৩৫০ মিলিয়ন শুক্রানুর সাথে লড়াই করে এই পৃথিবীতে । আমি আমার জন্মের জন্য বিশ্ব প্রকৃতির কাছে ঋণী । আমার এই বিশ্বাসকে আমি কখনোই ঈশ্বর – গড -আল্লাহর ট্যাগ লাগাতে চাইনা । এই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মগুলিই ( হিন্দু – মুসলিম – খ্রীস্টান – ইহুদী – বৌদ্ধ )আজ সারা বিশ্বে অনিষ্টের মূল । একে সবাই ব্যবহার করছে এর ফলে পৃথিবীর উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে । দরিদ্র মানুষ একত্রিত হতে পারছেনা তাদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে । ধর্মের কারনে এত বেদাবেদ, ধর্ম কুনু ভাবে মুক্তি দিতে পারে নাই কোন সমাজ কে। আজকে যদি আমরা উন্নত দেশ, জাতি দিকে লক্ক করি যেমন, জাপান তারা কিন্তু ধর্মের লেবাস উপ্রে পেলছে, এজন্য তারা উন্নত হতে পেরেছে।
আমরা পরবর্তী তে বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে আলোচনা করব, প্রত্যেক টি ধর্মের উৎস, কর্মকাণ্ড ইত্যাদি নিয়ে প্রত্যেক মাসে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করব।
The Qur’an describes that Allah “made from water every living thing” . Another verse describes how “Allah has created every animal from water. Of them are some that creep on their bellies, some that walk on two legs, and some that walk on four. Allah creates what He wills, for truly Allah has power over all things” These verses support the scientific theory that life began in the Earth’s oceans.